মুরগি পালন লাভজনক হলেও এদের বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই হয়ে থাকে। মুরগির বাচ্চা ব্রুডিং হাউজ থেকে শুরু করে মুরগি বাজার জাত করা পর্যন্ত মুরগির বিভিন্ন ধরণের রোগ হয়ে থাকে। আর এই রোগ গুলি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে, ভালো ঔষধ বা চিকিৎসা নেওয়া যায় না, এতে করে খামারিরা ক্ষতি গ্রস্থ হয়।তাই আপনি যদি মুরগি পালন করে থাকেন বা করতে চান তাহলে এই আপনি এই রোগের নাম, তালিকা, লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, রোগ পরিচিতি ও কি রোগ হয়েছে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে চাইলে আপনি নিম্নে দেওয়া তথ্য গুলি ভালো ভাবে পড়ুন।
যারা বিভিন্ন ধরণের খামার করতে চান বা খামার করেছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট AgroHavenBD.com ভিজিট করতে পারেন এবং কমেন্ট করে আপনার বিভিন্ন তথ্য ও প্রশ্ন করতে পারেন। কারণ আমরা কৃষি তথ্য সার্ভিস, ডিজিটাল ও আধুনিক কৃষি তথ্য বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও সমধান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেবার চেষ্টা করে থাকি। আপনি মুরগির রোগ (Murgi Rog) নির্ণয় ও লক্ষণ সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
ক্রমিক নং | রোগের নাম |
০১ | রানিক্ষেত রোগ |
০২ | এভিয়ান ফ্লু ভাইরাস বা বার্ড ফ্লু |
০৩ | পুলোরাম রোগ – Pullorum Diseases |
০৪ | ফাউল কলেরা – Fowl cholera |
০৫ | ইনফেকশাস কোরাইজা – Infectionus Coryza |
০৬ | ওম্ফ্যালাইটিস – Omphalitis |
০৭ | নেক্রোটিক এন্টারাইটিস – Necrotic Enteritid |
০৮ | কলিব্যাসিলোসিস – Colibacillosis |
০৯ | এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস – Avian mycoplasmosis. |
১০ | ব্রুডার নিউমোনিয়া – Aspergillosis |
১১ | মাইকোটক্সিকোসিস – Mycotoxicosis |
১২ | এভিয়ান পক্স বা বসন্ত রোগ – Avian Pox. |
১৩ | করোনা ভাইরাস – Corona virus |
১৪ | গামবোরা রোগ – Infection Bursal Disease |
১৫ | মারেক্স রোগ বা প্যারালাইসিস -Mareks Disease / Fowl Paralysis |
১৬ | লিম্ফয়েড লিউকোসিস – Lymphoid Leukosis |
১৭ | কৃমি বা পরজীবি দ্বারা সৃষ্ট রোগ – |
১৮ | রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস – Coccidiosis |
১৯ | ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানিবলিজম -Cannibalism |
২০ | পেটে পানি জমা বা এসাইটিস – Ascites |
২১ | হিট স্ট্রোক – Hit stroke |
মুরগির রোগ
মুরগির রোগের নাম সমূহঃ
০১) রানিক্ষেত রোগ – New Castle Diseases
মুরগির প্যারামিক্রো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রানিক্ষেত রোগ মুরগির খামারের সর্বাধিক ক্ষতি কর রোগ গুলার মধ্য অন্যতম ।সমস্ত বয়সের মুরগি এই রোগে আক্রান্ত হয়। আমদের দেশে শীত ও বসন্ত কালে এই রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায় ।
০২) এভিয়ান ফ্লু ভাইরাস বা বার্ড ফ্লু
এভিয়ান ইনফ্লু ভাইরাস জনিত রোগ । এটি একটি ছোয়াচে রোগ। এই রোগ গুলিতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি তাই এই রোগকে মুরগির প্লেগ রোগ বলা হয় । আনেক জায়গায় এই রোগকে বার্ডফ্লু বলে থাকে । সকল বয়সের মুরগি এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে । এই রোগ মানুষকেও আক্রান্ত করতে পারে ।
০৩) পুলোরাম রোগ – Pullorum Diseases
পুলোরাম রোগ একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ । সালমোনেলা পুলোরাম নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ি। ৩ সপ্তাহ এর কম বয়সি মোরগ মুরগি তে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে । এই রোগে মুরগির মৃত্যুর হার ১০০% হয়ে থাকে ।
০৪) ফাউল কলেরা – Fowl cholera
ফাউল কলেরা এই রোগ টি একটি খুব পরিচিত রোগ । পাস্তরেলা মাল্টাসিভা নামক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ । এই ব্যাকটেরিয়াটি ফাউল কলেরা রোগের জন্য দায়ী । বয়সক মোরগ ও মুরগি দের এই রোগ বেশি দেখা যায় । আত্যাধিক গরমে এই রোগ বেশি দেখা যায় । এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি ।
০৫) ইনফেকশাস কোরাইজা – Infectionus Coryza
হিওফিলাস প্যারাগ্যালিনেরাম নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ি। মুরগি ঘরে সঠিক ভাবে বাতাস না চলাচলা করলে , লিটার বেশি পুরাতন হলে ইত্যাদির জন্য এনেমানিয়া গ্যাস জমা হলে এই রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে । একে আবার অনেকে ঠান্ডা রোগ ও বলে ।
মুরগির রোগের নাম
০৬) ওম্ফ্যালাইটিস – Omphalitis
ওম্ফ্যালাইটিস একটি জীবণু রোগ তবে এটি সংক্রামক রোগ নয় । ব্যাবস্থাপনার ত্রুটির কারনে এই রোগ হয়ে থাকে । লিটারে আদ্রতা বৃদ্ধি পেলে , তাপমাত্রা ও আদ্রতা খুব বেশি বা কম হলে এবং পরিবহন জনিত সমস্যার কারনে এই রোগ হয় থাকে ।মৃত্যুর হার ১৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
০৭) নেক্রোটিক এন্টারাইটিস – Necrotic Enteritid
ক্লোষ্ট্রডিয়াম পারফ্রিনজেন্স নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই নেক্রোটিক এন্টারাইটিস রোগের কারণ । ২ থেকে ১২ সপ্তাহ বয়সের মুরগিদের এই রোগ বেশি হয়ে তাকে । পুরাতন লিটার ব্যবহার করলে এই রোগ হয়ে থাকে । রোগ টি হলে ডানা ঝুলে পড়ে , ঠোট দিয়ে লালা পড়ে ইত্যাদি অন্যতম লক্ষণ ।
০৮) কলিব্যাসিলোসিস – Colibacillosis
ই-কলাই নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি রোগ কে কলিব্যাসিলোসিস রোগ বলে । এই জীবানুটি বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি করে থাকে । যেমন, শরির দুর্বল করে তলে ,ঝিমাই ,শরীরে তাপ বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি হল এর লক্ষণ ।
০৯) এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস – Avian mycoplasmosis.
এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শ্বাস তন্ত্রের অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জটিলতায় হয় তাহলে তখন একে সিআরডি রোগ বলে । এর উপসর্গ হল শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগে মুরগির ওজন ও ডিম কমে যায় ।
১০) ব্রুডার নিউমোনিয়া – Aspergillosis
এসপারজিলাস ফিউমিগ্যাটাস নামে এক ধরনের ছাত্রাক এর কারণে এ রোগের উৎপত্তি । এই ছাত্রক শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে এই রোগ ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ধিরে ধিরে বাচ্চা গুলো মারা যায় । প্রচুর পানি খাই , শরির গরম হয়ে যায় ।
মুরগির রোগ নির্ণয়
১১) মাইকোটক্সিকোসিস – Mycotoxicosis
১২) এভিয়ান পক্স বা বসন্ত রোগ – Avian Pox.
১৩) করোনা ভাইরাস – Corona virus
১৪) গামবোরা রোগ – Infection Bursal Disease
১৫) মারেক্স রোগ বা প্যারালাইসিস -Mareks Disease / Fowl Paralysis
মুরগির রোগের লক্ষণ
১৬) লিম্ফয়েড লিউকোসিস – Lymphoid Leukosis
১৭) কৃমি বা পরজীবি দ্বারা সৃষ্ট রোগ –
১৮) রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস – Coccidiosis
১৯) ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানিবলিজম -Cannibalism
২০) পেটে পানি জমা বা এসাইটিস – Ascites
২১) হিট স্ট্রোক – Hit stroke
বিঃদ্রঃ আপনার কৃষি সম্পর্কে কিছু বলার বা জানার থাকলে, আপনি আমাদের ফেজবুক পেজ বা ফেজবুক গ্রুপে যোগ দিতে পারেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় মতামত জানাতে পারেন।
উক্ত বিষয়টি পড়ে আপনি যা জানতে পারবেনঃ
মুরগির রোগের লক্ষণ,মুরগির রোগ নির্ণয়, মুরগির রোগ পরিচিতি, মুরগির রোগ সমূহ, মুরগির রোগের নাম, মুরগির কি রোগ হয়েছে, মুরগির কি রোগ হয়, মুরগির কি রোগ হচ্ছে, টার্কি মুরগির রোগ, দেশি মুরগির রোগের তালিকা, তিতির মুরগির রোগ, দেশী মুরগির রোগ, দেশি মুরগির রোগ সমূহ, ফার্মের মুরগির রোগ, টার্কি মুরগির রোগ সমুহ, সোনালি মুরগির রোগ, মুরগির রোগ হয়েছে, মুরগির রোগ হয়, পল্টি মুরগির রোগ, Murgi Rog, মুরগির বিভিন্ন রোগের লক্ষণ,