সুপ্রিয় গবাদিপশু খামারি বৃন্দ “আসসালামু আলাইকুম” গবাদিপশুর খাদ্যের দাম এখন আকাশচুম্বি তাই গরু মোটাতাজাকরন ও গাভী পালনে কম খরচে অধিক সুফল পাওয়ার জন্য এ পদ্ধতি ব্যাবহার করতে পারেন। এতে আপনার গরু-মহিষ ও সকল গবাদিপশু কম খরচে লালন-পালন করতে পারবেন এবং বেশি লাভবান হবেন।
তাই বলাতেপারি অনুজীব ও ভুট্টা ফার্মেন্টশন করে গবাদিপশু কে খাওয়ান খামারের খরচ বাঁচান।
অনুজীব ও ভুট্টা ফার্মেন্টশন
অনুজীব, ভুট্টা ফার্মেন্টশন তৈরীর পদ্ধতি:
- ১ কেজি ভুট্টার গুড়া পানিতে নিয়ে মাখামাখা করুন।
- ২০ গ্রাম অনুজীব একটু কুসুম গরম পানিতে নিয়ে ১০ গ্রাম চিটাগুড় এর সাথে গুলাবেন। এভাবে ১০ মিনিট রেখে দিবেন।
- ১ নং ও ২ নং অর্থাৎ ( মাখামাখা ভুট্টা ও চিটাগুড় মিশ্রিত অনুজীব) একটি পাত্রে রেখে এয়ার টাইট করে ১০ ঘন্টা রেখে দিন।তৈরি হয়ে গেল।
কখন খাওয়াবেন:
তৈরিকৃত অনুজীব ফার্মেন্টেড ভুট্টা সকাল ও বিকাল এ দু বেলায় গরুকে খাওয়াতে হবে।
১০০ কেজি ওজনের ষাড়ের জন্য কতটুকু খাওয়াবেন:
- ৫০০ গ্রাম অনুজীব ফার্মেন্টেড ভুট্টা
- ধানের কুড়া -২০০ গ্রাম,
- সয়াবিন খৈল বা ডালের গুড়া-২০০ গ্রাম,
- মটর বা খেসারি ছুলকা-১০০ গ্রাম
- চিটাগুড় -১৪০ গ্রাম
- লবন-৩০ গ্রাম
- কাঁচা ঘাস – ৬ কেজি
- খড়-১ কেজি।
এভাবে তৈরিকৃত অনুজীব ফার্মেন্টেড ভুট্টা মোটাতাজা করণের ষাঁড় কে ৫০% এবং দোধালো গাভীকে ২০% খাওয়াতে পারবেন।
অনুজীব ও ভুট্টা ফার্মেন্টশন খাবারের উপকারিতা:
১/ দ্রুত মাংসের বৃদ্ধি ঘটাবে।
২/ দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে।
৩/ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
৪/ গরু লালন পালন এ খরচ কমবে।